tag:blogger.com,1999:blog-75685213739666624752024-03-05T19:01:04.027+05:30মদনগুপ্তের ফুলপঞ্জিকাThe flowery and bogus book of auspicious dates, palmistry etc by M GuptaOsho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.comBlogger96125tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-950979334447525952020-03-19T09:29:00.000+05:302020-03-19T09:29:03.210+05:30গনেশ<pre>
যাক তোর ই-মেলটা ঠীক হয়ে গেছে
গনেশ আর আমার কাশি সেরে গেছে
সমস্ত কাজের লোকেরা তাদের
সহজাত আর সাবলীল উৎপাৎ করছে।
ওকে তো বলে বোঝাতে পারিনা,
ও আমার বাবা না আমি ওর;
গনেশ তো তোর, আমাদের এবং আমাদের সকলের।
তাই একটা বড় উঠোনে
গনেশ বড় চুল রাখবে
তখন তুই আর আমি
হো হা হা করে অট্টহাস্য করব
সুকুমারের তাছিল্যে
আর গনেশ?
গনেশ তখন বেহালা বাজাবে।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-4108671374165869522020-01-15T12:09:00.000+05:302020-01-15T12:38:16.954+05:30পুনর্জন্মের ইতিকথা<pre>
'তাহারা'আমাদের সবার থাকে
কেননা আমরা জ্ঞান হওয়া থেকে
আমাদের একান্ত নিজের 'তাহারা' তৈরী করি আজীবন।
এবার আমাদের বয়সের সাথে সাথে
চরিত্রের মূল সত্যটি প্রকাশ পায়-
আমাদের হৃদরোগ হয়,
যকৃত কথা বলতে শেখে,
শব্দচয়ন, তথা বাক্য- সৃষ্টি এবং বরণ
মাত্রার বাইরে কিপ্টে আর নিষ্ঠুর হতে থাকে
ইত্যাদি।
তখন আমাদের তৈরী 'তাহাদের' ও পছন্দের রঙটি দেখা যায়
উপদেশবলী পাত্রে ও অপাত্রে দানের উৎসব হয়।
আর আমরা আবার শূন্য থেকে শুরু করি।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-37993299544132453852020-01-06T14:03:00.003+05:302020-01-06T14:03:48.221+05:30তাগিদ<pre>
মনুষ্যফলের, বিশেষপক্ষে আমাদের, এক অদ্ভুত ব্যারাম আছে-
আমাদের এক ভীষণ বড় অবসর- অতীত-আর্তি।
আহা তখনকার তমুক!
অথবা আর এক বহু-চর্চিত 'আহা'-
সেই অমুক হইলে কি তমুকটাই না হইতে পারিত!
কিন্তু তাহা হইতে অনেক অধিক ক্রিয়াশীল- ভবিষ্যৎ।
অথচ তাহা লইয়া আমরা অতটা চিন্তাশীল বা বিচলিত হইনা।
প্রাতঃরাশ আর সান্ধভোজ মানবসমাজে অনায়াসে সাবলীল।
যেমন জিরাফের স্কন্ধ সময়ক্রমে আপনি দীর্ঘ হয়।
যেমন ফি রবিবারের মধণ্যভোজে
আলু সহযোগে খাসির মাংসের ঝোল আর ভাতের উপকারিতা,
নিদিনপক্ষে আমাদিগের,
পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করিবার প্রয়োজন হয়না।
শিক্ষয়িত্রী এবং শিক্ষকের অন্যতম কর্তব্য তথা-
তাহাদের সমস্ত শিক্ষাপ্ৰদান অথবা তত্ত্বের ভূমিকার
ক্ষুধা কিম্বা প্রবৃত্তির সহিত সম্পর্কস্থাপন।
কেননা ক্ষুধা স্বভাবত অতীত হইতে ভীষণভাবে সাবলীল।
প্রবৃত্তি-
অনুপ্রেরণা, শিল্পবোধ, নিয়ম ইত্যাদি হইতে বঞ্চিত
তথা- পরম ধ্রুব।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-70630907891937590062020-01-05T15:24:00.000+05:302020-01-05T15:24:27.695+05:30আমাদের নিজেরা<pre>
এত বড় ছাতা আমি কোনোদিন দেখিনি
দৃষ্টি-ব্যাপি, রীতিমত অর্ধ-গোলার্ধ বলে ভ্রম হয়
আর সেই ছাতায় কতসব ফুটো
বিভিন্ন রঙ আর আকৃতির-
কেউ স্থির, কেউ বা চঞ্চল
কারো নিজের আলো আছে, কারো নেই।
আর সামনে অপার সমুদ্দুর,
আর তার বিপুলতা ও শব্দ
দুধারে বালি
দিগন্ত, অন্ধকার, কাঁকড়া,
আর মরে যাওয়া নারকেল গাছের পাতা
ব্যাতি কোন সঙ্গ নেই।
এমত অদ্ভুত একাকিত্বে
খুব দুর্বল হতে ইচ্ছে হয়
খুব শখ হয় ভাবতে-
যে এই গোটাটির নিশ্চই কোন এক 'স্রষ্টা' আছে।
চেষ্টাও করলাম অনেকক্ষণ ধরে
অনুরোধ করলাম, কিন্তু
কিছুতেই অনুমতি পেলাম না।
পেলে আরাম হোত, কিন্তু হলনা।
দেখলাম এই আকাশের সৌন্দর্য্য
শুধু আমাদের নিজের নিজের তুমি বা তোমরা দিয়ে বাড়ে।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-47594876115110810012020-01-05T15:21:00.000+05:302020-01-05T15:21:16.744+05:30পোকা<pre>
তোর আর আমার এই ছোট বাড়িতে
একটি ছাত আছে
আর সেই ছাতে একটি ছাতঘর
ছাটঘরটায় আমাদের একটি বাক্স।
বাক্সে আমাদের চাঁদ, তোর বিয়েতে পাওয়া গয়না,
তোর আর আমার সনদপত্রাবলী
অপত্যের জন্ম সনদ
আরও কতকি টুকিটাকি আছে।
আর সেই বাক্সের ভিতর আছে একটি তুলনামূলক ছোট বাক্স
আর সেই ছোট বাক্সে একটি পোকা
পোকায় দস্যুর প্রাণ।
এবার এই দস্যু
যে বোকাদের মত ঠার বা ইশারা বোঝেনা
তাকে তাই বাতিল করাই সাবলীল ও যুক্তিগত
কিন্তু মনে রাখিস যে- এই দস্যুও
তার প্রাণ ছাতের ছোট বাক্সে বন্দী
পোকাটিতেই রেখেছিল।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-23984416109862692682019-08-29T13:49:00.003+05:302019-08-29T13:49:28.900+05:30শাদীচারণা<pre>
মুকুর ব্যাতি আমার কখনও খুব কিছু ছিলনা
বাইবেল, গীতা, আর কোরান তো নয়ই।
কিন্তু তোমাদের মতই আমারও একটি অপত্য আছে
তোমাদের মতই- আমিও তাহার জন্য প্রাণ দিতেই পারি।
এইবার পদ্ধতি
আমার পদ্ধতি কিঞ্চিৎ অসভ্য
কেননা তাহা সংগায়িত নয়
তথা, তোমাদের মত সুস্থ নয়
কিঞ্চিৎ নোংড়া
আবেগ কিন্তু তোমাদেরই মত
ধূসর রঙের বলিয়া ভ্রম হয়
ভ্রম হয় রঙ হেতু
এইবার আমি যদি তোমাকে প্রশ্ন করি?
রঙ কি?
রঙ শুধু আর একটি দ্রব্য নয়?
মিশাইয়া আঁকি না আমরা সকলে?
তবে?
শাদীচারণা, আমি ইহার আগেও করিয়াছি
তুলনামূলক বেশী কঠিন পরিস্থিতিতে
আবার করিব- কথা দিলাম।
তুমি মিলাইয়া লইও।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-86227165677594004142019-08-27T11:36:00.001+05:302019-08-27T11:36:12.029+05:30গণতন্ত্রের ইতিকথা<pre>
তোমার ভোরবেলা আর শিক্ষা হেতু-
লালকালি দিয়ে চেক বা পরীক্ষার খাতায় লেখা বারণ করা আছে
আর আমার... সেসব নিয়ে কিছু মৌলিক প্রশ্ন আছে।
তুমি আর আমি জানি- আমার মত তোমারও ধৰ্ম নেই
কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখ তোমাদের ধর্মজীবী আছে
সেই সূত্রে ডেঙ্গু বয়ে নিয়ে আসা
মশাদের ওপর ঘেন্না আছে।
বাদর-টুপির ওপর একটা স্নেহ আছে।
তোমার মত আমারও মানুষত্বের রঙই পছন্দের
কিন্তু সেক্সপিয়ের পড়ে বা না পড়ে বোঝা যায়
যে গল্পটা ব্রুটাস এর মীরজাফরের রূপান্তর নয়,
গল্পটা আসলে জুলিয়াসের
আর ঠিক তাই বলে আমাদের অনামিকায়
নিয়ম করে, নির্ধারিত সময় ব্যাপী
কালো দাগ থাকে না।
কেননা আমরা জানি জুলিয়াসগুলো
আমাদের সৃষ্টি এবং বস্তুত ব্যাক্টেরিয়া
অবশেষে মাথায় বসবেই।
ঠিক এই কারণে আমরা বাড়ীর খাবার খাই
আর মুকুর নিয়ে থাকি।
স্বাধীনতার যথাযথ রূপান্তর-
মুকুর।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-80799040038769437842019-08-27T11:31:00.002+05:302019-08-27T11:31:45.048+05:30ধর্ম<pre>
কখনও তর্ক করিনি তো
আমাদের উপাধি, রুচি-বোধ, চিন্তার পরিচ্ছন্নতা, বা ধর্ম নিয়ে।
তাহলে কেন?
তাহলে কেন ইচ্ছে মত আমার ভূগোল আর ইতিহাস কে টানা?
আমি কোনোদিন তোমাদের মত শিক্ষিতদের আমার মত হতে বলেছি?
তাহলে তোমরা কেন গিলতে পারনা?
এত কিসের উৎসব?
আনুষ্ঠান?
জানিয়ে দেওয়ার?
বক্তিতার?
এরম ও তো হতে পারে
যেখানে প্রেম প্রাধান্য পায়
যাচাই এর পূর্বে
সেসব ক্ষেত্রেও তোমার বাঁশি আর রবিঠাকুর কেন?
সময় বা তুমি বিষয় হতে পারে না?
পুঁথি প্রেমিকা হতে হবে?
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-34984281149241792742019-08-27T11:29:00.001+05:302019-08-27T11:29:29.515+05:30শুক্রবারের হাট<pre>
দেখ সবার মা-বাবা, বাবা-মেয়ে থাকে
দেখ সবার হাতচিঠি আর নিতান্ত আপন সাহিত্য থাকে
আমাদের গড়া, হ্যাঁ আমাদের গড়া-
কবির, শরদিন্দু, রবিঠাকুর আর ইস্টবেঙ্গল থাকে
ফেলুদা, আর চন্দ্রিল থেকে বেশি চন্দ্রবিন্দু থাকে
আর থাকে লেনিন, তাই,
সূর্যোদয় আর তার সাথে কাগজ থাকে।
এইবার দেখ, এ সমস্ত অমুকেরা চা আর বিড়ি খায়
বারণ হয়ে যাওয়ার পরও খায়।
তাদের ভীষণ বিদ্যে থাকে
সেই বিদ্যের অনেক পুঁথি আর আয়োজন থাকে।
সেই আয়োজন, চেহারা, উচ্চারণ
আর তদজনিত আলোতে মমতা শঙ্করেরা,
পীরিতে ও পিড়িতে বসে আসে।
মুশুরের ডাল, আলু সেদ্ধর সাথে ভাতের পর
একটু শীতেই রাতে, এমনকি দুপুরেও, তারা
বালাপোশ আর কোলবালিশ।
কেননা তা পরিচিত।
এবার আমরা
আমাদের যে নিষ্কলঙ্ক, নিষ্পলক মুকুর থাকে?
আমরা যে চারগুন বেশি ভাত খেয়ে রোগা থাকি?
আমরা যে ইতিহাস নির্বিশেষে মেতে উঠি?
সেই অসুবিধেগুলোর কেন কি?
খুজঁছিই বা কেন?
আমরা শুঁটকি, দাবা, গিটার, উপাধি, ইতিহাস
ইত্যাদি উপেক্ষা করি বলে?
আমাদের গেরুয়া নেই, আর
আমাদের শুক্রবারের হাট বসে না বলে?
আমরা, আমরা বলে?
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-69687660181667598562019-07-08T09:20:00.001+05:302019-07-08T09:21:42.732+05:30সাপের মাথা<pre>
কিছুদিন পর গুলিয়ে যায়
সবার এবং আমার।
আমি সীমিত ক্ষমতা নিয়ে যাচাই করে দেখেছি-
অন্ধকারে আমি এখনও দেখতে পাই
কিন্তু তা পেলেও, গুলিয়ে যায়
আর সবার গুলিয়ে যায় বলে।
আমি সৎ হয়ে দেখেছি
'ক্যাক্টাসকে কাঁদতে' বারন করে দেখেছি।
সবাই কোনও না কোনও পরিস্থিতিতে
নিশ্চয়ই ক্যাকটাসের সাথে কথা বলে দেখে।
তাদের সবার মত আমিও কথা বলে দেখেছি,
আর চুপ করে গেছি।
শীতের বিকেলের ফুলকপির পাকোড়া
বা বর্ষব্যাপী পাতার ফাঁকের চাঁদের মত
সহজ না হলেও-
'সাপের মাথায় পা দিয়ে' ও তো
কেউ নাচতেই পারে।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-18348832974822679182019-02-05T19:43:00.004+05:302019-02-05T19:43:29.412+05:30চব্বিশ<pre>
আমরা ভোট দেবনা
আমরা পণ্যজীবী বা সাম্যবাদী কোনটাই হবনা
বা তা নিয়ে মতপোষণ ও করব না।
চৌত্রিশ আর দশের মধ্যে ব্যাপারটা আইনগত থাকে
তাই সেই আইনে আমরা মাথা ঘামাব
এভাবে আমাদের যে চব্বিশ বাঁচবে
সেটা যারা পড়তে পায়না
বা পারলেও যথাযথ পায়না
তাদের দেব।
তাদের আমরা শেখাব যে আমরা কথা শুনব না
আমরা সমস্ত বিচার করে সুস্থ মুস্তিষ্কে বেছে নেব
তাদের আমরা শেখাব যে-
দর্শন, সাহিত্য, এমনকি পরকীয়াও
বস্তুত রঙের প্রকারভেদ।
সেই চব্বিশ আমরা দেব-
বাচ্চাগুলোকে খেতে দিতে এবং বাঁচাতে
চব্বিশ দেব আমরা- বিয়ের পর মেয়েগুলোর পদবি রাখতে
চব্বিশ দেব আমরা- সিঁদুর না পরতে
একটি মেয়ে খেতে ভালোবাসলে, তার ইতিবাচক মন্তব্য না করতে
চব্বিশ দেব আমরা- ইচ্ছেমত মেয়েদের জামা পরতে
চব্বিশ দেব আমরা- ৬ টার পর মেয়েদের বাড়ি ফিরতে
মূলত- সমীচীনতার সঙ্গা লিঙ্গ-নিরপেক্ষ করতে,
আমরা চব্বিশ দেব।
তাতে আমাদের রবিন বল বা যাই
আমরা চব্বিশ আয়করকে না দিয়ে বাচ্চাগুলোকে
শিশুদের, মেয়েদের, আর বঞ্চিতদের-
সৈনিক বা তাছাড়া, দেব।
দেবই।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-84319203391190343972019-01-21T22:02:00.002+05:302019-01-21T22:02:34.235+05:30ওরা ও আমরা<pre>
সকলে কেমন কথা বলিতে চায়
শুভ সকাল ইত্যাদি প্রীতিজনিত শুভেচ্ছা।
কারণ নাই বলিয়া কথা বলিনা
তাহাতে এত অসুবিধা কিসের?
রসবোধ, আড্ডা, সাহিত্য, প্রেম, অঙ্ক
সবই আমার খুব ভাল লাগে,
মূলত বুঝি ও।
কিন্তু তাছাড়া যদি থাকে?
শিক্ষা, অশিক্ষা, মূল্যবোধ, হ্যান ত্যান
বাদ দিয়া যদি থাকে?
তাহাতে খুব নিষ্ঠুর হওয়া হইল?
আমি তো বাপু, আমার মত থাকি।
ধার করিতে ভালোবাসি না।
তোমরা কেন বাস তা বুঝিনা
তাই বলিয়া এমত খোটা দেওয়া কেন?
কেন বাপু? তোমাদের পুঁথি আছে, তাই?
আমার নাই?
আমার আমি আর জগৎ আছে।
ধর্ম, রঙ, ভাষা বা সঙ্গীতের প্রকার নাই
হিন্দু, ইহুদী বা মুসলমান নাই
গায়ের রং নাই
মীমাংসা নাই।
আমার খাদ্যবস্তু আছে
ভালোরকমের আছে
কিন্তু তাহার পাঞ্জাবি আর বাঙালী- বিভাজন নাই
থাকিবে না।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-63554708136312251392019-01-18T05:55:00.000+05:302019-01-18T05:59:20.929+05:30দশে বশ<pre>
কারো সাথে কথা নাই
ব্যাথা নাই, মিছা নাই
মিঠাই আর মন্ডা
কত শত সন্ডা
সংখ্যা আর তত্ব
হবে যত মত্ত
তোমাকে করবে বশ
তুমি হবে খসখস
কিছুটির প্রাণ নাই
তোমার বেশ আছে তাই
তাই তাতে এলিয়ে
পাছে গেলে কেলিয়ে
যদিও বা না চলে
কিইই বা গিয়ে এলে
হাহা হায় হায় হুশ
আছে তো গণ্ডুষ
তুমি হও নিজে দশ
নিজেরে কর বশ
দ্যাখো দাগ জুড়ে যায়
নদীটি চলে যায়।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-29884408485578829472019-01-07T14:46:00.001+05:302019-01-08T14:58:19.459+05:30কিছু লোক<pre>
'তোমাদের আসরে আজ এইত প্রথম গাইতে আসা'
বা তাছাড়া ...
কিছু লোকের ভাল বা মন্দ হয়না।
কিছু লোকের শুধু রঙ আর সংখ্যা হয়।
কেননা কিছু লোকের সমাজ আর সংজ্ঞা হয়না
তবুও মন হয়
সেই মনের ভীষণ নিজস্ব গণ্ডি হয়।
আর মুকুর ও ডারউইন হয়।
কিন্তু প্রথম লাইনটা,
আর সেইটার গাওয়া টা
কি সাবলীল দেখেছ?
তবে অর্থ যে দুটি?
অর্থ যে যৌক্তিক, তাই নিষ্ঠুর?
এমত জীবনধারার-
দায়িত্বশীল, স্বার্থপর
ইত্যাদি বিশেষণ সহজে ব্যবহার হয়।
এবং তাই সেই 'কিছু লোক'
সারাটা একা হয়।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-15552938710703809202019-01-03T09:38:00.000+05:302019-01-03T09:38:18.011+05:30নিম্নগামী বস্তু<pre>
গোঁফ পাকাইয়া শাদী হাঁকাই ঠিকই
উরও রীতিমত চওড়া থাকে।
গমনের মেয়াদ, বা প্রায় সমস্তই যে নিছক গণিত
তা বুঝাইতে তৎপর হই
এদজনিত বিততি লইয়া তর্ক,
এমনকি ঠাট্টাও করি সর্বদা।
কিন্তু যখন নিম্নচাপ হয়?
যখন উহাদের গাড়ীতে তুলিয়া
সমস্ত ঠিক আছে কিনা দেখিয়া
গুটি গুটি পায়ে বাড়ী ফিরি
চা আর বিড়ি ধরাই
কর্মসূত্রে বা অযথা, পত্রাবলীর উত্তর দিই?
প্রাতঃরাশে আর মধ্যভোজের খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করি
বাকি সব সকালগুলির মত
পত্রিকায় প্রকাশিত ধাঁধার
সমাধানে ব্যস্ত হই?
তখন দেখি মস্তিস্কটি সঙ্গে নাই
গাড়ীতে আর বিমানবন্দরে অযথা
হাঁটিয়া চলিতেছে ...
তখন আমার বহুকালের তৈরী, একান্ত নিজস্ব
শাদী এবং গণিত আমাকে ঠাট্টা করে।
এবং গবাক্ষে ওই লোকটা মুচকি হাসিয়া বলে-
"স্নেহ একটি নিম্নগামী বস্তু।"
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-55275170342579745292018-12-08T12:45:00.000+05:302018-12-08T12:45:32.736+05:30মস্তিষ্কের ইতিকথা<pre>
বাকী অনেক প্রত্যঙ্গের মত, মস্তিষ্কও একাধিক থাকে
বাজার করিতে গিয়া, পার্কের রাস্তায় হাঁটিয়া
মস্তিষ্কগুলির অসংখ্য চক্ষুর সহিত আলাপ ঘটে
চক্ষুগুলির আকার, রঙ, গোলকের অপসরণ
জ্ঞানত বা অজ্ঞাতসারে, ভীষণ নিজস্বভাবে
সঙ্কলয়িতা ও অনুবাদকগুলি সেবন করে
মস্তিষ্কগুলি দুই শ্রেণীতে বিভক্ত হইতে থাকে-
একটি শ্রেণীর না থাকে মহাত্মা গান্ধীর তত্ত্ব পাতে
দ্বিতীয়টি সাদা ফুলের সৌন্দর্যে মাতিয়া উঠে।
সমস্ত সাদা ফুলের বীজ বপন করে
সেই ফুলগুলির পুষ্পোদ্গমে
তুষার-উদ্যানের সৃষ্টি থাকে
তুষার গলিয়া মাটিতে পড়ে
মাটির বুকে সলিলরূপে বন্দী থাকে।
প্রভাতে যখন ভাস্কর আসে
সলিলগুলি মাতিয়া উঠে
সকাল যত বাড়িতে থাকে
ভাস্করের সহিত সলিলেরা একে একে
অম্বরের মধণ্যভোজে গমণ করে।
সায়ান্ন্যে এমত তুমুল ভীড়ে
কোপে অম্বর যখন গর্জিয়া উঠে
গবাক্ষরা কাঁপিয়া উঠে, দুয়ারগুলি ভাঙিয়া পড়ে
বিক্ষিপ্ত শ্যেল বক্ষে বিঁধে, পাঁজর ভাঙার শব্দ আসে।
তখন মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু- শান্ত, সত্য মৃত্যু হাসে।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-13540508213763405722018-11-12T23:01:00.000+05:302018-11-12T23:09:07.360+05:30অবনীরা<pre>
কতশত অবনী আর বনলতা সেনদের
আমাদের অকালবোধনে আর দ্বীপাবলীতে ভীড় হয়
ধারে, দূরে আর বিষম ভীড়ের পুজোগুলোতে হয়
পত্রিকাগুলোতে পুজোর সংখ্যা হয়
তারা মোটা হয়
আর তাদের দাম শহর অনুযায়ী কম বেশী হয়
আমাদের গাঁদাফুলগুলি
উৎসব অনুযায়ী
দ্বারে সুসজ্জিত
আর ছুড়ে ফেলে আকুতি হয়
শাড়ি, উৎসব আর তথাকথিত বন্ধুবান্ধব হয়
পলায়ন পথ আর কতকি হয়
মিষ্টান্ন, ভাই ফোঁটা, খুব ভাল ব্রিজ খেলতে পারা
বস্তুত খুব পরিছন্ন বাঙালিয়ানা
আর মনের দিক থেকে ভাল হওয়া হয়
আমাদের ওরমভাবে আদর
আর কতসব সম্পর্ক হয়
তারপর যথযথ কিপ্টে অবনীরা হয়
অবনী- তুমি কি এসব জেনেও হাঁটছ
ঘুরে বেড়াচ্ছ?
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-15099108843584968242018-11-12T14:08:00.001+05:302018-11-12T14:20:56.162+05:30বকপাখি<pre>
বুদ্ধি আর নির্বুদ্ধি, দুইই
মূলত ভীষণ আপেক্ষিক
বস্তুত অতিরঞ্জিত।
আমরা বুনট
যথা- গায়ের বা অভ্যন্তরীন রঙের উৎসব।
কাজেই আমাদের আইনস্টাইন
আর সারমেয়দের ওপর সমপরিমাণ আদর থাকে।
প্রথম পঙতিটির
উপেক্ষা করিয়া থাকে।
আমরা প্রধানত- পড়াশুনা, শিক্ষা, মিডিয়াম
ইত্যাদি লইয়া মাতিয়া যাপন করি
এইকালের ভিনদেশি মিষ্টি,
বিরিয়ানির- হায়দরাবাদ বা লখনউ
আলু, ডিম সহকারে বা ব্যাতীত
বেনারসের পুরি-তরকারি ইত্যাদিতে
মাতিয়া উঠি ও তাহাদের বৃহত্বরতা লইয়া তর্ক করি।
সেই সূত্রে আমরা
স্নেহের নিম্নগামীতা, রঙ
রোজকার রক্তিম স্রোত
শিকারের স্বাভাবিক প্রবণতা
ইত্যাদি উপ্রিয়া ফেলি।
ডারউইন
প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত
লালা, থুতু উপেক্ষা করিয়া
সূত্রে মজিয়া থাকি।
বাকী প্রজাতিগুলির
এষণীয় বুদ্ধির অভাবে
তাহারা কেবল শিকার
ও অকপটে স্বীকার করে।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-48139536294575773282018-11-10T05:01:00.001+05:302018-11-10T05:36:10.731+05:30শয়তানের হাতবাক্স<pre>
তোমার সবসময় একাধিক ছিল
তাছাড়া তোমাকে আমি
অযথা শাসনও করেছি খুব।
কখনও প্রয়োজনীয়
বেশিরভাগ অপ্রয়োজনীয়
শাসন করেছি;
যেমন তোমার মা করতেন।
রঙ নিয়ে তর্ক করেছি।
নুন, চিনির প্রচলিত ব্যবহার
এবং রান্না নিয়ে তর্ক করেছি।
আমাদের মানিব্যাগে কি কি থাকবে
তা নিয়ে তর্ক করেছি
মূলত- অভাবে দ্বিভাব করেছি।
কিন্তু ভেবে দেখবে তুমি-
দৃশ্যত দৈত্যদেরও,
তোমাদের মত প্রাণ থাকে,
আর একটাই থাকে।
সেইসমস্ত প্রাণগুলি আমাদের নিজেদের তৈরী
শয়তানদের হাতবাক্সে,
কীটে বন্দী আর পুকুরের তলায় থাকে।
কিন্তু থাকে।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-76784699917076301882018-11-07T08:45:00.000+05:302018-11-07T09:00:32.135+05:30বিলি জিন আমার ছেলে না<pre>
আমরা উৎসবে শব্দে বা নিঃশব্দে বাজী পুড়াই
আমরা ধুম্রদণ্ডের শেষটুকু আর
মিষ্টি পানীয়র বোতল
সযত্নে, যথাস্থানে খুব সাবধানে রাখি।
আমাদের সবার বৌ বা প্রেমিকা থাকে
সময়ে তারা প্রকাশ পায়
তারা আর আমরা মিলিয়া গল্প বাঁধি,
প্রদীপ, তারাবাতি, তুবড়ি, গাঁদাফুলের মালা,
ইত্যাদি লইয়া বাঁধি।
বারংবার, একাধিক বার আলাপ করি,
দৃশ্যত অহেতুক, বস্তুত প্রয়োজনীয়
গৌরচন্দ্রিকা বাঁধি।
এবং তাহাতে
মজি ও নরম হই।
অতঃপর আমরা রুমালি রুটির সহিত
মুরগীর কষা আর দোষারোপ খাই
তাহাতে রাজনীতি, পক্ষপাত, ও মতবাদ
সাদী হাঁকাইয়া আসে।
পরে নিভৃতে, প্রাক্কালে
দুধ ছাড়া কফি আর সিগারেট আসে
সকালের পত্রিকা আসে
চিনি বা তাছাড়া আসে।
এইরূপে আমাদের দ্বীপাবলী উদযাপিত হয়
পুষ্করিণীর পারে আর বাটীতে।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-22748214653538666842018-11-04T20:04:00.000+05:302018-11-04T20:04:19.670+05:30ঝেড়ে কাশা<pre>
তোমাকে অবজ্ঞা বা অস্বীকার
আমি কখনও করিনি।
শুধু নিজেকে, নিজের শিক্ষা
জন্ম, ইতিহাস, বা ভূগোল হতে
একটু বেশী ভালবেসেছি- এই যা
কাজে, গজিয়ে যাই
গজিয়ে- আমার ঘার মোটা হয়
আমি লাফাই।
সেই সূত্রে আমার বাড়ী বড় হয়
তদজনিত বন্ধুদের আপত্তি বা হিংসে ও
ওরা পাখি, প্রকৃতি আর চাঁদের ছবি তোলে
ওরা এদিক ওদিকে নির্ভেজাল বেড়াতে যায়
কারণ ওরা খুব অমুক
বহুকালব্যাপী ভীষণ তমুক স্কুল
আর পদবি হয় ওদের
আমি শুধু কাবাব খাই
লাহোর আর দিল্লির
মূল পার্থক্যটুকু বুঝিনা ওদের মত করে
বুঝিনা গরু
বুঝিনা মাতার দুধের আর মাংসের তথা
রং আর সংখ্যা খাই।
ইন্ধন আমাদের সহজ কবে বা কখন?
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-54821428563206434322018-11-04T17:07:00.000+05:302018-11-04T17:13:10.851+05:30আমাদের খাশীর ঝোল<pre>
আমাদের ভীষণ হেন তেন হয়
আমাদের রবিবারে দুপুর বেলায়
খাশীর ঝোল হয়।
আমরা তাহা কাঁচালঙ্কা আর সাদা ভাতে দেখি,
এবং,
তাহাতে আমাদের সাহিত্য আর পত্রিকা বজায় থাকে।
তদুপরি আমাদের, একম এবং অদ্বিতয়ম-
লেনিন থাকে।
আমাদের এইরূপ ইহা উহার সমাবেশ আছে
ভুড়ি আর তলপেটের আড্ডা আড়িয়া আলোচনা আছে
কেননা আমরা খুব অমুক।
কেননা আমাদের কাহারো পিতা
শিক্ষক, ইতিহাসবেত্তা বা শম্ভু হয়
তাহারা মিত্র আর শত্রু একই পাত্রে হয়।
কিন্তু কি আশ্চর্য দেখ
শম্ভু আর শৈবালেরা একত্র হয়
তাহাদের প্রণয়, এমনকি পরিণয় হয়
অপত্য হয়। অপত্যের ইতিবাচক সংজ্ঞা হয়
এবং তাহাতে, মত বা বিমত হয়।
সবই, অর্থাৎ শুধু রঙ হয়
নীল আর সবুজে হয়।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-80478325980755385902018-11-03T22:50:00.000+05:302018-11-03T22:50:16.655+05:30বিশ মাইল<pre>
বর্গের প্রধানত দুইরকম প্রকারভেদ হয়-
আমি এবং বাকিরা।
বয়সের সাথে, তথা খুব ধীরে, এবং স্বাভাবিকভাবে
রবীঠাকুরদের যথাযথ উপলব্ধি হয়।
রৌদ্র হয়; অশ্বিনের বা অযথা,
কাশফুল বা তাছাড়া হয়।
গ্রীস্ম, শীত, বসন্ত হয়,
মিয়া কি মালহার হয়।
আমরা, যথা বস্তুত আমি
এমত উপকরণে প্রফুল্লিত হই।
আদিখ্যেতার উৎসব বা ভদ্রবেশটিতে প্রষ্পুষ্ঠিত হই।
অতঃপর আরো দৃঢ়ভাবে উপলব্ধি মজ্জাগত হয়
কুড়ি মাইল, কুড়ি মাইল,
উনিশ মাইল, কুড়ি মাইল-
হয়।
আমার ভীষণ পরিশ্রমে, সংগৃহিত অমুককে
তমুক ভাবে দেখোনা হয়।
অতঃপর বাইবেল আর গান হয়।
আর সবশেষে- তুমি ওভাবে বা অভাবে,
তোমার নালিশ হয়
আমরা হই
আমাদের হয়
আর আমাদের দৃশ্য হয়।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-88936474693697301862018-10-19T19:10:00.000+05:302018-10-30T08:54:23.012+05:30 বিজয়ায় বাইবেল<pre>
দেখবেন-
এই অবধি না দেখে থাকলে, বা তাছাড়াও,
অবশেষে দেখবেন-
'তুমি কোন ভাঙ্গনের পথে এলে', আর তারপর 'সুপ্ত রাতে'...
ঠিক আসবে দেখবেন
দেখবেন তাদের অনিবার্য প্রেম
আর তাদের লড়াই।
জামা কেনা আর সেকেলেপনায় সন্তানদের বিরক্তি দেখবেন
চিন্তার পরিচ্ছন্নতা, নেহাত আরামে এড়িয়ে চলে
সূত্রের পুজো বা তার অবজ্ঞা দেখবেন
আর আমরাও সাথে দেখব।
দেখব আমাদের শেখানো বাঙালিয়ানাকে
আমরা কিভাবে এবং কোথায় তাদের নিয়ে গেছি, দেখব।
রূপে ও গুণে পরবর্তীত হলেও, বাঙালিকে 'বং' করা দেখব
রং থাকা সত্ত্বেও- দেখব।
তারপর দেখব
একটা ভীষণ ঝলমলে শারদ সকাল
কাশফুল আর শেষ আশ্বিনের রোদ।
আর তার কিছু বছর পর
সকালে চায়ে চুমুক দিতে দিতে
আমাদের কাগজগুলোতে আমরা দেখব
চাটুজ্জ্যে, কবির আর তৃণমূল।
তারপর দেখব- গরু, পাঠা, শুয়র-
দেখব- সাদা তেল বা ডিমের ঝোল
দেখব- বরাহ ও তার বিভিন্ন পরিবেশন
দেখব- ডারউইন আর স্বার্থপরতা
দেখব- কলাপাতা; সর্ষে,
এবং তার উপাদেয় তেল।
দেখব আরাম। দেখব আবেগ।
ঋতু, রহস্য, তথাকথিত যুক্তি,
আর এইসবের অন্তর্নিহিত, প্রচলিত,
বহুকাল ধরে পরিবেশিত, সুরক্ষিত,
যোগ্য সূত্র, দেখব আমরা।
পাতাল আর কুসুমের সাথে আকাশ শব্দটা যোগ দিয়ে দেখব-
কেমন শ্রুতিমধুর আর আবেগপ্রবণ।
আর সর্বার্থে আমরা দেখব
আমাদের প্রত্যেকের বিছানার পাশের টেবিলে রাখা
নিজের নিজের বাইবেল।
কেননা আমরা সব দেখি।
কেননা আমরা ভীষণ অমুক গোষ্ঠীর তমুক
আমাদের উৎসবগুলো তাই সাংঘাতিকভাবে
গান, খাবার আর সাহিত্য উৎপ্রেরিত।
পুজো বা তাছাড়া,
সংগীত, খিদে, জানবার ইচ্ছে, সূত্র, চলচিত্র,
জাতিস্মর, 'পাড়ার ছোট্ট পার্ক' ....
আমরা সব দেখতে পাই।
কাজেই আমরা, আমাদের সারাটা
বুক চিতিয়ে শুধু এইসবই দেখব
বছরের পর বছর,
প্রতি বছর।
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7568521373966662475.post-3234878598159212392018-10-19T12:52:00.000+05:302018-10-19T12:52:40.347+05:30"বন্ধু কি খবর বল"<pre>
- কি নাম রে তোর?
- সহজ। তোমার নাম কি?
- এই ধর- কঠিন
- আচ্ছা।
- তোকে দেখে ভীষণ চেনা মনে হয়
- আমারও তোমাকে দেখে
- হুম; তা তোর সম্পর্কে একটু বল
- কি বলব?
- তুই কোথায় থাকিস, তোর কি ভাল লাগে; তোর যা খুশি বলতে ইচ্ছে করে বল।
- আমি এখান থেকে একটু দূরে থাকি
আমার দিদাকে ভালো লাগে- দিদা সবসময় আমার জন্যে আমের আঁটিটা রেখে দেয়, আর কাউকে দেয়না
ছোট মামাকে ভাল লাগে- ছোট মামা সব খেলা খুব ভালো খেলে; আমাকে সাইকেল চালাতে শেখায়
গনেশ স্যারকে ভালো লাগে- আমাকে বড়দের অঙ্কের খাতা দেখতে দেয়
বাবাকে খুব ভালো লাগে- বাবা কাগজ রেখে আমার সাথে দাবা খেলে; আমাকে বল কেনার পয়সা দেয়;
আমার শুঁয়োপোকা একদম ভালো লাগে না; চোখে পড়লেই মেরে ফেলি
বাড়ীতে অনেক লোক এসে মার সাথে গল্প করে- আমার ভালো লাগে না
স্কুলে বাংলা, ইংরিজি, ইতিহাস পড়তে ভালো লাগে না।
- হুম. তুই আমার বাড়ি আসবি? আমি তোকে বল কেনার পয়সা দেব আর তোর সাথে দাবা খেলব...
- আসব। তুমি আমার কথা শুনবে, এখন যেমন শুনছ?
</pre>Osho Pishachhttp://www.blogger.com/profile/03797075105728155406noreply@blogger.com0